পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি যদি একটি পাসপোর্ট করে থাকেন, তাহলে পাসপোর্ট এর নির্দিষ্ট পরিমাণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম জেনে, রিনিউ করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে না জানেন, তাহলে হয়তো আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বিভিন্ন রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন এবং রিনিউ করার জন্য কিরকম স্টেপ ফলো করতে হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

কয়ভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করা যায়?

সাধারণত আপনি চাইলে দুইটি ভিন্ন উপায়ে পাসপোর্ট রিনিউ করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

তারমধ্যে থেকে একটি হলো আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস এবং অন্যটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদন।

অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনি পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন সম্পন্ন করে নিতে পারেন, তাহলে কোন রকমের দালাল চক্রের সাহায্য ছাড়া খুব সহজেই সেটি সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও কোন রকমের বিভ্রান্তির শিকার হওয়া ছাড়াও আপনি এই কাজটি সহজ করে নেয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট রিনিউ করার বিষয়টিকে আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেব।

আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে যদি রিনিউ করেন, তাহলে নানা রকমের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে পারেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে করলে জাস্ট কয়েকটি স্টেপ করার মাধ্যমে পাসপোর্ট রিনিউ করার কাজ গুলো অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখনই জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।

অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে, সেই সমস্ত ধাপগুলো সম্পর্কে পর্যাক্রমে নিচে আলোচনা করা হলো।

প্রথম ধাপঃ গুরুত্বপূর্ণ লিংক

একদম সর্বপ্রথম, আপনাকে প্রথমত নিম্নলিখিত লিংক ভিজিট করতে হবে।

Apply Stage

 

দ্বিতীয় স্টেপঃ রি-নিউ সিলেক্ট করে নেয়া

এবার আপনি যেহেতু আপনার পূর্বের দেয়া পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান, সে জন্য আপনার পাসপোর্ট এর যে সমস্ত ইনফরমেশন রয়েছে সে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো দিয়ে দিন এবং তারপরে MRP নামের অপশন রয়েছে সেই অপশনটি সিলেক্ট করে নিন।

এবং তারপর এখানে যে পাসপোর্ট নাম্বার দেয়ার অপশন রয়েছে, সে সমস্ত পাসপোর্ট নাম্বার দেয়ার অপশন এবং আপনি পাসপোর্ট এর কি পরিবর্তন করতে চান? সেটি সিলেক্ট করে নিন।

বিষয়টিকে একে বারে পরিস্কার ভাবে অনুধাবন করার জন্য নিম্নলিখিত স্ক্রিনশটটি দেখে নিতে পারেন।

এবং এই স্ক্রিনশটটা যে পাসপোর্ট নাম্বার রয়েছে এবং এক্সপায়ার ডেট পরিবর্তন করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং এক্সপায়ার্ড ডেট লিখে দিন।

পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

সমস্ত বক্স যখন যথাযথভাবে ইনফরমেশন দিয়ে ফিলাপ করে নেবেন তখন পরবর্তী পেজে চলে যেতে পারবেন এবং পাসপোর্ট য়েভাবে আবেদন করেছিলেন, সেই পাসপোর্ট আবেদনের মত ইনফর্মেশন দেয়ার মাধ্যমে রিনিউ করার কাজটি সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট আবেদন করার সম্পর্কে বিস্তারিত- Pending

এক্ষেত্রে আপনি যখন তাদের কাছে এই অ্যাপ্লিকেশনটি সাবমিট করে দিবেন, তখন পরবর্তী স্টেপ হিসেবে আরও কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

সেগুলো সম্পর্কে নিচে মেনশন করা হলো।

রিনিউ করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম জেনে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে চান, তাহলে উপরের উল্লেখিত ধাপগুলো শেষ করে দেয়ার পরে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।

সে সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করার কাজ আরো বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

  • আপনি যে আবেদন পত্র দাখিল করেছিলেন, সেই আবেদনপত্রের যে প্রিন্ট কপি রয়েছে, সেই প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে নিতে হবে। এটি, আবেদন করার পরে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
  • তারপরে, সনাক্তকরণ ডকুমেন্ট প্রিন্ট কপি সাথে নিতে হবে। যেমনঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ইত্যাদি।
  • মানি অর্ডার এবং ব্যাংক সার্টিফাইড চেক।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটাবেজের প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
  • আপনি যে তথ্য সংশোধন করেছেন, সেই তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।

উপরে যে সমস্ত কাগজপত্র কথা মেনশন করা হয়েছে, সেই সমস্ত কাগজপত্র পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রযোজ্য হবে।

রেনু করার জন্যই উপরের সমস্ত কাগজপত্র তাদের কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং তারপরে রিনিউ করার কাজটি চালিয়ে যেতে হবে।

এছাড়াও রিনিউ করার জন্য যে সমস্ত ধাপ রয়েছে, সেগুলো হল, ফোন গুলো জমা দিতে হবে এবং তারপরে পাসপোর্ট রিনিউ ফি পরিশোধ করতে হবে।

আপনি চাইলে পাসপোর্ট ফি সাপোর্ট করে সে সমস্ত ব্যাংকে গিয়ে রিনিউ ফি পরিশোধ করে নিতে পারেন।

এবং আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কিরকম কি প্রযোজ্য হবে সেটি আপনি নিজেই নির্ধারণ করবেন, আপনার প্রয়োজন অনুসারে।

Also Read: পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

বিদেশ থেকে কিভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করবেন?

আপনি যদি বিদেশি বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং বিদেশে অবস্থানরত নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট কিভাবে রিনিউ করা যাবে?

এই কাজটি করার জন্য আপনার আশেপাশে যে সমস্ত বাংলাদেশ এম্বেসী এবং কনস্যুলেট অফিস রয়েছে, সে সমস্ত এম্বেসি এবং কনস্যুলেট অফিস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের সেবা সাপোর্ট করে এরকম বিদেশে অবস্থানরত যে সমস্ত এম্বেসি এবং কনস্যুলেট অফিস রয়েছে, সেগুলো কাজটি বাসতবায়ন করতে খুব বেশি পরিমানে সময় নেবে না।

অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার কাজটি সম্পন্ন করে নেবে।

পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর

আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান, তাহলে পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে পারে।

পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত যে সমস্ত কমন প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করেন তাহলে সাধারন ক্ষেত্রে এই পাসপোর্ট রিনিউ করতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যেতে পারে।

পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ কত?

পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য সর্বনিম্ন ই-পাসপোর্ট ফি ৫ বছর, ৪০২৫ টাকা। এছাড়া অফিশিয়াল কোন খরচ নেই।

কতদিন আগে রিনিউ করতে হবে?

পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য সেরকম কোনো বিধিনিষেধ নেই। আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে পারেন।

তবে আপনি যদি এর আগের রিনিউ করে নিতে চান, তা হলেও রিনিউ করে নিতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top