নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? Nid করতে কি লাগে?

আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান তাহলে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? কিংবা Nid করতে কি কি লাগে? এই সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্ব অবস্থায় পড়ে যান।

আর আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান তাহলে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সমস্ত ইনফরমেশন এর প্রয়োজন হয়, সে সমস্ত ইনফরমেশন এর তত্ত্ব সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।

এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? কিংবা এনআইডি কার্ড করতে কি কি লাগে সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?

আপনি যদি নতুনভাবে ভোটার লিস্টে নাম উঠাতে চান, তাহলে আপনি কিংবা যেকারো যারা এনআইডি কার্ডের নাম উঠাবে তাদের যে সমস্ত ইনফরমেশন লাগবে সেগুলো মোটামুটি একই রকম।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি সম্পর্কে একবার জেনে নিতে পারেন তাহলে সেটি সবাইকে জানিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সমস্ত ইনফরমেশন এর প্রয়োজন আছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

জন্ম নিবন্ধন সনদ

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনার সর্বপ্রথম এবং সর্ব-প্রধান একটি ডকুমেন্ট হল জন্ম নিবন্ধন সনদ। আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে ভোটার লিস্টে নাম উঠাতে হবে।

ব্যাপারটা এরকম যে, আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যে সমস্ত ইনফরমেশন থাকবে সেই সমস্ত ইনফরমেশন এর আদলে আপনার এনআইডি কার্ড তৈরি হয়ে আসবে।

এজন্য আপনাকে সত্যায়িত করার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর প্রয়োজন রয়েছে।

যেকোনো শিক্ষা সনদ

আপনি সর্বশেষ যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই পরীক্ষার যে শিক্ষা সনদ রয়েছে সেই শিক্ষাসনদ তাদের কাছে সরবরাহ করতে হবে।

আপনি যদি শিক্ষাসনদ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলবে। অর্থাৎ আপনি যতই লেখাপড়া করেন না কেন, তারা আপনার এনআইডি কার্ডের ইনফর্মেশনে আন্ডারগ্রাজুয়েট দিয়ে দিবে।

অর্থাৎ আপনি লেখাপড়া করেন না কিংবা আপনি হয়তো একেবারে কম লেভেলে লেখাপড়া করে পড়ালেখার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। সেজন্য এই সমস্ত জটিলতা এড়াতে অবশ্যই শিক্ষাসনদ সাথে নিয়ে যাবেন।

শিক্ষাসনদ বলতে, সর্বশেষ পরীক্ষার মার্কশিট কপি কিংবা যদি পরীক্ষার এডমিট কার্ড থেকে থাকে তাহলে সেই এডমিট কার্ড। এর মাধ্যমে আপনি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ দিতে পারবেন।

পিতা এবং মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

নতুন জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশনের নাম হল পিতা এবং মাতার জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।

নতুন এনআইডি কার্ডের নাম উঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে। এই ইনফরমেশন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনফর্মেশন।

সেজন্য, এনআইডি কার্ডের নাম উঠানোর জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন।

বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের জন্য ডকুমেন্ট

আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, এবং তার স্ট্যাটাস আপনি যদি প্রমাণ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাবিননামা সাথে নিয়ে যেতে হবে।

তবে আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে কোনরকমে ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে না। সেজন্য বিবাহিত প্রমাণ করার জন্য আপনাকে এই রিলেটেড ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।

উপরে উল্লেখিত কয়েকটি ইনফর্মেশন যদি আপনি সাথে নিয়ে যান তাহলে, খুব সহজেই আপনি নতুন ভোটার আইডি লিস্টে নাম উঠাতে পারবেন।

কিছু অপশনাল ডকুমেন্টস

এছাড়াও, অপশনাল হিসেবে আপনি যে সমস্ত ইনফরমেশন সাথে নিয়ে যেতে পারেন সেগুলো হলঃ

  • বাড়ীর বিদ্যুৎবিল/গ্যাস বিল।
  • জমি মালিকানা খতিয়ানের কপি।
  • ভাড়াটিয়া হলে বাড়ি ভাড়ার রসিদ এবং ভাড়াটিয়া চুক্তিনামার কপি।

এ সমস্ত ইনফরমেশন যদি আপনার সাথে থেকে থাকে তাহলে সেগুলো নিতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্ত ডকুমেন্ট এর কোন প্রয়োজন হয় না।

সেজন্য যেকোন রকমের অবস্থা এড়াতে, আপনার কাছে যদি এ সমস্ত ইনফরমেশন থেকে থাকে তাহলে সেগুলো নিতে পারেন।
অন্যথায়, এগুলো নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

নতুন ভোটার হতে যা অবশ্যই লাগবে

ডকুমেন্ট হিসেবে আপনাকে যে সমস্ত বিষয় গুলোর সাথে নিতেই হবে, সেগুলো হলোঃ

  • অনলাইন জন্মসনদ।
  • শিক্ষা সনদ (প্রাথমিক সমাপনী /JSC/SSC);
  • প্রবাসী ভােটারের ক্ষেত্রে পাসপাের্টের কপি।
  • ছবিযুক্ত ও স্মারক নম্বরসহ জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদ।
  • পিতা,মাতার NID
  • বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID ও কাবিননামা।
  • পিতা মাতার NID না থাকলে ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যুসনদ, জন্মসনদ।

এই সমস্ত ডকুমেন্টগুলো যদি আপনি সাথে নিয়ে যান তাহলে আপনার কাজ হয়ে যাবে।

আপনার সাথে যদি এ সমস্ত ইনফরমেশন থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে খুব সহজেই নতুন ভোটার লিস্টের নাম উঠাতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আবেদন

এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার লিস্টের নাম উঠাতে চান, তাহলে সেটি খুব সহজে ঘরে বসে করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নির্ধারিত কার্যালয়ে গিয়ে দিতে হবে এবং এর পূর্বে যে সমস্ত কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।

অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার লিস্টে আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।

জেনে নিনঃ নতুন ভোটার আবেদন করার নিয়ম

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটি দেখে নিলে নতুন ভোটার লিস্টে আবেদন করার রিলেটেড তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? কিংবা নতুন আইডি করতে কি কি লাগে? সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

এছাড়াও আরও জেনে নিনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top