অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন খুব সহজেই।

আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন, এই রিলেটেড বিস্তারিত তথ্য নিয়ে।

এবং কিভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন, সেই তথ্য বিস্তারিত জেনে নিতে চাইলে এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।

অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

আপনি যদি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আপনাকে মাত্র কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখনি এই বিলেটেড বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

নতুন আইডি কার্ড দেখার জন্য আপনাকে জাস্ট ৩ টি স্টেপ ফলো করতে হবে এবং সেই ৩ টি স্টেপ কিভাবে পাড়ি দিয়ে আপনার নতুন আইডি কার্ড দেখে নিবেন, সেটি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে।

স্টেপঃ১- নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট

একদম প্রথম ধাপ হিসেবে আপনাকে প্রথমত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য নিম্নলিখিত লিংক ভিজিট করুন।

উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করার পরে নিম্নলিখিত স্ক্রীনশটএর মত একটি পেইজ দেখতে পারবেন , এবার আপনাকে এই পেইজটির যথাযথ ইনফরমেশন দিয়ে ফিলাপ করে নিতে হবে।

অর্থাৎ আইডি কার্ড যখন আপনি তৈরি করেছিলেন, সেই আইডি কার্ড তৈরি করার সময় আপনাকে যে স্লিপ নাম্বার দিয়েছিল , সেই স্লিপ নাম্বার প্রথম বক্সে বসিয়ে দিন।

স্লিপ নাম্বার নিয়ে আপনি যদি সন্ধিহান অবস্থায় থাকেন, তাহলে নিম্নলিখিত ছবিটি দেখে নিতে পারেন এবং পুনরায় এটি মনে করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড করার নিয়ম

উপরে উল্লেখিত স্ক্রিনশটে যে মার্ক করা অংশ রয়েছে, সেই মার্ক করা অংশে স্লিপ নাম্বারটি মেনশন করা থাকবে।

এবং তারপরে আপনার দেয়া ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে।

অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

পুরো পেইজটি কি কি ইনফরমেশন দেয়ার মাধ্যমে আপনাকে ফিলাপ করে নিতে হবে, সেই সম্পর্কে পেজটিতে বাংলায় ভালো করে লেখা রয়েছে।

নতুন হিসেবে আপনাকে শুধুমাত্র স্লিপের নাম্বারটি এখানে বসিয়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন, তখন তারা পরবর্তীতে যে স্লিপ নাম্বার দিয়েছিল, সেই নাম্বারটি প্রথম বক্সটিতে বসিয়ে দিতে হবে।

Also Read: জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন

তার পরে যথাক্রমে আপনার জন্ম তারিখ এবং ইমেজ রি ক্যাপচা শুদ্ধকরে দেয়ার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

পরবর্তী ধাপ হিসেবে আপনাকে আরও কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

– আপনি স্লিপ নাম্বার এবং জন্ম তারিখসহ ইমেজ রি-ক্যাপচা দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার ফোন নাম্বারটি এখানে টাইপ করে দিতে হবে।

– অর্থাৎ যে ফোন নম্বার দেয়ার মাধ্যমে আপনি এনআইডি কার্ড তৈরি করেছিলেন, সেই ফোন নাম্বারটি এখানে বসিয়ে দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।

-একদম সর্বশেষে একটি পাসওয়ার্ড সেট আপ করে নিতে হবে, যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি পুনরায় আপনার একাউন্টে লগইন করতে পারবেন এবং তথ্য ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারবেন।

স্টেপ-২ঃ অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ

যখনই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করে নিবেন, তখন নিম্নলিখিত স্ক্রীনশটএর মত একটি পেইজ দেখতে পারবেন।

যে পেইজটি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।

অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

আপনি চাইলে এই পেজটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পরিমার্জন করতে পারবেন এবং অন্যান্য যে কোন রকম ইনফরমেশন এখানে যুক্ত করতে পারবেন।

আপনি যেহেতু অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড টি সংগ্রহ করে নিতে চান, সে জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।

৩য় স্টেপঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

এবার তৃতীয় এবং একদম সর্বশেষ স্টেপ হিসেবে আপনি যদি আপনার নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে চান, তাহলে অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে নিন।

আপনি যদি অলরেডি একাউন্টে লগইন করা থাকেন এবং নিম্নলিখিত স্ক্রীনশটএর মত পেইজ টিতে থাকেন, তাহলে শুধুমাত্র “ডাউনলোড” নামের বাটনটির উপরে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।

অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

ডাউনলোড নামের বাটনের উপরে ক্লিক করে দিলে, ফাইলটি অটোমেটিকলি আপনার ডিভাইস স্টোরেজে ডাউনলোড হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আপনি এটি দেখে নিতে পারবেন।

আর, উপরে উল্লেখিত উপায়ে আপনি চাইলে মাত্র ৩ টি স্টেপ ফলো করার মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ডের ইনফর্মেশন ভুল হলে কি করবেন?

উপরে উল্লেখিত উপায় যেহেতু আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত ইনফরমেশন গুলো দেখে নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডের ইনফর্মেশন আপনার চোখে পড়তে পারে।

তবে যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোন ভুল ইনফরমেশন নজরআরোপ হয় তাহলে বিভ্রান্ত কিংবা হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কারণ আইডি কার্ডে ভুল হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। যা কম বেশি সবার হয়ে থাকে।

যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং সেই ফরম টি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নিতে পারেন।

তারপরে যে জায়গায় ভুল হয়েছে সে জায়গাতে পরিশুদ্ধ করে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি নিজে নিজে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে চান তাহলে নিম্নলিখিত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন এবং ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ঘরে বসে

আইডি কার্ড সংশোধন হতে কতদিন লাগে?

যেকোনো ছোটখাটো ভুলের জন্য আপনি যদি আপনার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য তাদের কাছে পরিবেশন করেন, তাহলে তারা কমপক্ষে ৩ মাস সময় নিতে পারে।

তবে, অনেক ক্ষেত্রে সেটি তিন মাসের বেশি সময় নেয়। সেটা সম্পূর্ণ পক্ষে নির্ভর করবে আপনার ভুল ত্রুটির উপরে।

তবে, অনেক সময় আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন, ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন এর জন্য আপনি যখন তাদের কাছে দিবেন, তখন তারা পুনরায় আরেকটি ভুল ধরিয়ে দিবে।

অর্থাৎ আপনি যে প্রমানাদি তাদের কাছে প্রেরন করবেন, তাতে ঘাটতি।

Also Read: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করুন ঘরে বসে ২মিনিটে

এই সমস্যার হলে, আপনার কম করে হলেও পাঁচ-ছয় মাস লেগে যেতে পারে।

যেহেতু, বাংলাদেশ একটি বিশাল জনসংখ্যা দেশ, সে জন্য এই সমস্যাটি ছোটখাটো সমস্যা হিসাবে ধরে নিন।

ভোটার আইডি কার্ড দেখতে না পেলে কি করবেন?

কোন কারণে উপরে উল্লেখিত উপায়ে আপনি যদি ইনফর্মেশন দেয়ার পরেও আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে না পারেন, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এক্ষেত্রে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এবং তার পরে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে।

আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন, আপনি যখনই এখান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করবেন, তখন সেটি একটি পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড হবে।

যেটি আপনি চাইলে পরবর্তী সময়ে প্রিন্ট আউট করার মাধ্যমে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

অর্থাৎ এই আইডি কার্ড রিলেটেড যে সমস্ত কার্যক্রম রয়েছে, সেটিই আপনি এই পিডিএফ ফরমেট ফাইল এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

কারণ, এই ফাইলটি একটি গ্রহণযোগ্য ফাইল এবং এটি আপনার রিয়েল আইডি কার্ড।

Also Read: জন্ম নিবন্ধন যাচাই | জন্ম নিবন্ধন চেক করুন ১ মিনিটে

সেজন্য যে কোনো রকমের সরকারি কিংবা বেসরকারি কাজে যখন আপনার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে, তখন আপনি এই আইডি কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার কার্য সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখনি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন, উপরে উল্লেখিত আর্টিকেল এর সহায়তায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top