ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম

যেকোনো কারণে আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে চান, তাহলে এখান থেকে সেটি জেনে নিতে পারবেন।

এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ড স্হানান্তর করতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

আপনার জন্য ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করা যদি বাধ্যতামুলক হয়ে যায় তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন এবং এখান থেকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার কাগজপত্র

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে চান তাহলে আইডি কার্ড স্থানান্তর করার জন্য কি সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে?

আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করার জন্য আপনাকে একটি ফরম ফিলাপ করতে হয়, যে ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমে আপনি এটা নিশ্চিত করে দিতে পারেন যে আপনি ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করতে ইচ্ছুক।

ব্যাপারটা এরকম যে, আমি যখনই এই ফরমটি পেয়ে যাবেন এবং এই ফরমটি ফিলাপ করে নিবেন তখন এই ফরম ফিলাপ করার জন্য আপনার যে সমস্ত ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে মেনশন করা হলো।

  • ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম ১৩ (ডাউনলোড করুন)
  • ভোটার আইডি কার্ডের ইনফর্মেশন। আইডি কার্ডের নাম্বার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি।
  • যে ঠিকানায় আপনার আইডি কার্ড স্থানান্তর করতে চান, সেই ঠিকানা।
  • আপনি কেন স্থানান্তর করতে চান তার কারণ।
  • আবেদনকারীকে সনাক্ত করার ইনফর্মেশন।

মোট কথা হল, আপনি যখনই ফর্ম টি ডাউনলোড করে নেবেন তখন এই ফরমটি, ফিলাপ করার জন্য আপনাকে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো দেয়ার মাধ্যমে ফিলাপ করে নিতে হবে।

তবে আপনি যদি এই ফরমেট একটি ভিউ দেখে নিতে চান, তাহলে সেটি নিচে থেকে দেখে নিতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম

যেহেতু ফরমটি কি দিয়ে ফিলাপ করবেন সেটি ইনফর্মেশন আকারে বাংলায় দেয়া রয়েছে, সেজন্য এতে আপনার কোন সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না।

তারপরও আপনি যদি এটি ফিলাপ করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাহলে, আর্টিকেলকে কন্টিনিউ করতে থাকুন।

ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর ফরম ফিলাপ করার নিয়ম

আপনি যদি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনি আসলেই ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই আইডি কার্ড স্থানান্তর করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

১- এই বক্সটিতে আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যে নাম রয়েছে সেই নামটি বসিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন নামের স্পেলিং যাতে ভুল না হয়। আপনার আইডি কার্ড অনুযায়ী নামটি যাতে সঠিকভাবে বসিয়ে দিতে পারেন।

২- এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যে নাম্বার রয়েছে সে নাম্বারটি বসিয়ে দিতে হবে।

৩- তিন নাম্বারে যে বক্স রয়েছে সেই বক্সটিতে আপনার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে বসিয়ে দিতে হবে। আপনি চাইলে জন্মতারিখ বাংলায় লিখে বসিয়ে দিতে পারেন, কিংবা আইডি কার্ডে যেভাবে লেখা আছে সেভাবে বসিয়ে দিতে পারেন।

৪- এই অপশনটিতে আপনার ভোটার নাম্বার, ভোটার এলাকার নাম্বার সহ আরও যাবতীয় যে সমস্ত, ভোটার রিলেটেড তথ্য রয়েছে সেগুলো বসিয়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনার থানা, উপজেলা, জেলা ইত্যাদি রিলেটেড ইনফরমেশন দিয়ে এই বক্সগুলো ফিলাপ করে নিতে হবে।

এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো আর সেটি হল, আপনার যদি ভোটার এলাকার নাম্বার না জানা থাকে, তাহলে সেটি ফিলাপ করার দরকার নেই। আপনি যখন অফিসে গিয়ে ফর্মটা জমা দিবেন তখন সেটি ফিলাপ করে দিতে পারবেন।

৫- এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখানে ইনফর্মেশন হিসেবে আপনি যে এলাকায় আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করতে চান, সেই এলাকায় ইনফরমেশনগুলো যথাযথভাবে বসিয়ে দিতে হবে।

মনে রাখবেন, ইনফরমেশনগুলো দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। আর আপনি যদি স্থানান্তরের ইনফরমেশনগুলো ভুল দেন তাহলে আপনি নানা রকমের জটিলতার মধ্যে পড়তে পারেন।

সেজন্য যে এলাকায় আপনি স্থানান্তর করতে চান সেই এলাকার রিলেটেড যাবতীয় ইনফর্মেশন যথাযথভাবে সংগ্রহ করে নিন এবং তারপরে যথাযথভাবে বক্সগুলো ফিলাপ করে নিন।

এই বক্সটিতে, চতুর্থ বক্সের মত জেলা-উপজেলা, ওয়ার্ড নাম্বার সহ এলাকার যাবতীয় ডিটেইলস মেনশন করে দিতে হবে।

৬- এখানে আপনি যেখানে স্থানান্তর করছেন, সেখানে কবে থেকে অবস্থান করছেন সেটি মেনশন করে দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনি আপনার স্থানান্তরের জায়গায় কবে এসেছেন এবং সেখানে আপনি কতদিন যাবৎ অবস্থান করছেন সেই রিলেটেড একটি তথ্য বলে দিতে হবে। এখানে আপনি একটি তারিখ এবং সাল মেনশন করে দিতে পারেন।

৭- আপনি যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করতে চান সেই স্থানান্তর করার সঠিক কারণ বলে দিতে হবে। যেমন আপনি জায়গা কিনে এখানে পার্মানেন্টলি চলে এসেছেন বা এরকম কিছু।

অথবা আপনার স্থানান্তরেরে যে কারণ রয়েছে সেই, কারণটিই এখানে ভালোভাবে বলে করে দিতে হবে।

৮- আপনি যে এলাকায় আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করবেন সে এলাকা সম্পর্কে আপনাকে সত্যতা যাচাই করে দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে এলাকায় রয়েছেন, সেটির প্রমাণ যুক্ত করে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি ইউটিলিটি বিল এর কপি থেকে কিংবা অন্য যে কোনো রকমের রশিদ থাকে যার মাধ্যমে আপনি এটা প্রমাণ করতে পারবেন তাহলে সেটি সংযুক্ত করে নিবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে যেকোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার মাধ্যমে সেটির সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।

এবং তারপরে সর্বশেষে আপনি যে আবেদন করেছেন সেই আবেদন সম্পন্ন করে নেয়ার জন্য আপনার একটি সিগনেচার দিয়ে দিতে হবে। তাহলে আপনি এই ফরমটি যথাযথভাবে ফিলাপ করতে পেরেছেন।

যখন আপনি এই ফরমটি যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেবেন তখন আপনি এটি আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিসে সরবরাহ করতে হবে।

সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে তারা আপনার আবেদন গ্রহণ করবে এবং তারপরে এই অনুযায়ী আপনার ইনফরমেশন গুলো পরিবর্তন করে দেবে।

আইডি কার্ড ট্রান্সফার হতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর হতে কতদিন সময় লাগতে পারে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে এক্ষেত্রে একটা বড় এমাউন্টের সময় যে লাগবে সেটা নিশ্চিত।

এক্ষেত্রে আপনার দুই থেকে তিন মাস লাগতে পারে কিংবা অনেকক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। সেজন্য নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয় যে আপনার কত সময় লাগবে।

কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড স্থানান্তর করতে হয় এবং ভোটার আইডি কার্ড স্হানান্তর করার যে সঠিক নিয়ম রয়েছে সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

শেষ কথাঃ উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি বর্তমানে কয়েক বছরের জন্য অন্য কোন এলাকায় চলে যান এবং এইসময়ের যদি আপনার ভোটার লিস্টে নাম উঠানোর মতো সময় চলে আসে, তখন আপনি সেখান থেকে বিরত থাকুন।

কারণ আপনি যদি ওই এলাকায় থেকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম উঠান তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ইনফর্মেশন গুলো ঐ এলাকায় থেকে যাবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ড পূর্বের জায়গা থেকে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তর করার প্রয়োজন পড়বে।

সেজন্য আপনার যে পার্মানেন্ট এড্রেস রয়েছে সেই অ্যাড্রেসে থাকার সময় যদি ভোটার লিস্টে নাম উঠানোর মতো সিচুয়েশনে চলে আসে তাহলে সেখান থেকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম ওঠিয়ে নিতে পারেন।

তাহলে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করার নিয়ম জেনে সেই রিলেটেড কার্যক্রম করার জটিলতায় পড়তে হবে না।

এছাড়াও আপনি যদি আইডি কার্ড রিলেটেড আরো বিভিন্ন রকমের ইনফর্মেশন জেনে নিতে চান তাহলে নিম্নলিখিত আর্টিকেলগুলো দেখে নিতে পারেন।

জেনে নিনঃ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top