পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে আপনাকে নিশ্চয়ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নিতে হবে এবং জেনে নিতে হবে কিভাবে আপনি চাইলে এটি রিনিও করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান, তাহলে এই আর্টিকেল থেকে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক কিভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করবেন এবং এটি রিনিউ করার জন্য আপনাকে কি রকমের কাগজপত্র সংগ্রহে রাখতে হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসওয়ার্ড রিনিউ করার নিয়মাবলী

আপনার যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান, তাহলে রিনিউ করার নিয়মাবলী কি?

একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে পাসওয়ার্ড রিনিউ করার জন্য যে সমস্ত ইনফরমেশন এর প্রয়োজন হয় সেগুলো সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো।

  • ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ ইংরেজি ভার্সন।
  • পাসপোর্ট রি ইস্যু আবেদন ফরম।
  • পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার রশিদ।
  • ই-পাসপোর্টের যে সিডিউল প্রিন্ট রয়েছে,সেই সিডিউল প্রিন্ট কপি।
  • পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • ছাত্র হলে সার্টিফিকেটের ফটোকপি এবং
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
  • নাগরিক সনদের প্রয়োজন হবে।
  • পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।

উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আপনার কাছে থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট পুনরায় রিনিউ করতে পারবেন।

অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে । তাহলে আপনি এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।

প্রাপ্ত বয়স্কদের পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী

এছাড়াও আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার বয়স যদি ১৮ বা তার উর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে কিভাবে পাসপোর্ট পুনরায় করতে পারবেন?

কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিও করতে চান তাহলে পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কি রকমের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র – NID (মূল কপি এবং ফটো কপি) এই দুইটি তথ্যের প্রয়োজন হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই নাগরিক সনদ দিতে হবে। যার মাধ্যমে আপনার নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যায়।
  • এছাড়াও আপনার পেশা প্রমাণের জন্য তথ্যের প্রয়োজন হবে। যদি আপনি শ্রমিক হয়ে থাকেন তাহলে পেশা প্রমাণের জন্য জন্য ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে না।
  • পূর্বের পাসপোর্ট এর মূলকপি এবং ফটোকপি এর প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট আবেদন কপি প্রয়োজন হবে। এই আবেদন কপি ৩ পেজের হয়ে থাকে।
  • সামারি কপি হিসেবে এক পেইজের যে কাগজ রয়েছে সেটি প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট রি ইস্যু আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হবে।

যদি আপনার কাছে এই সমস্ত তথ্য গুলো থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে পুনরায় পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করতে পারবেন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

এ সমস্ত কাগজপত্র যদি আপনার কাছে থেকে থাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তাহলে আপনাকে এই সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে চলে যেতে হবে।

এবং যখনই সেখানে থাকা কর্মরত ব্যক্তিদের পাসপোর্ট রিনিউ করার কথা বলবেন, তখন তারা আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবেন।

পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত টাকা?

আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে রিনিউ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে তাদের বেঁধে দেয়া কিছু ফি পরিশোধ করে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে পাসপোর্ট রিনিউ ফি হিসেবে যে সমস্ত ফি বরাদ্দ রয়েছে, সে সমস্ত ফি সম্পর্কে তথ্য নিচে থেকে জেনে নিতে পারেন।

জেনে নিন: পাসপোর্ট রিনিউ ফি সম্পর্কে তথ্য

উপরে যে আর্টিকেলের লিংক দেয়া হয়েছে এই লিংকে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনি চাইলে, পাসপোর্ট রিলেটেড যে ফি সমস্ত রয়েছে, সে সমস্ত ফি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

যখনই আপনি পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন, তখন আপনি নিজেই এটি জেনে নিতে পারবেন যে আপনার পাসপোর্ট পুনরায় রিনিউ করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে।

পাসপোর্ট সম্পর্কিত যে সমস্ত তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন ছিলো, সেই সমস্ত তথ্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি; ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পেরেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top