নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ঘরে বসে

আপনি যদি নতুন ভোটার হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনি চাইলে ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার কিংবা অন্য যে কারো ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে নিতে পারবেন।

এতে করে আপনাকে কোন রকমের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে না। খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

আপনি চাইলে মাত্র কয়েকটি স্টেপ ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম জেনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

তাহলে আর দেরি না করে এখুনি জেনে নেয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন।

স্টেপঃ১- ভোটার আইডি কার্ড এর ওয়েবসাইট

আপনি যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে চান, সে জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম ভোটার আইডি কার্ডের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সে ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে।

নিম্নলিখিত লিংক থেকে সেই ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবেন।

উপরে উল্লেখিত লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ভিজিট করে নিন।

স্টেপঃ২- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা

উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করবেন তখন একাউন্ট করতে হবে, যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত ইনফরমেশন গুলো ম্যানেজ করবেন।

একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমত ইংরেজিতে আপনার পুরো নাম দিতে হবে, তারপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম তারিখ রয়েছে, সেই জন্মতারিখ দেয়ার পরে ছবিতে প্রদর্শিত কোড প্রবেশ করান।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

সমস্ত ইনফরমেশন গুলো যথাযথভাবে দেয়া হয়ে গেলে এবার “বহাল” নামের যে বাটন রয়েছে সেই বহাল বাটন এর উপরে ক্লিক করুন।

যখনই আপনি বহাল নামের উপরে ক্লিক করে দিবেন তখন পরবর্তী স্টেপ হিসেবে আপনাকে একটি সঠিক ফোন নম্বর এখানে বসিয়ে দিতে হবে।

মনে রাখবেন, এখানে যে ফোন নাম্বারটা দেবেন সেই ফোন নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন এসএমএস চলে যাবে। সেই এসএমএস দেয়ার মাধ্যমে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে হবে।

যে ফোন নাম্বারের সহায়তায় আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান, সেই ফোন নাম্বারটি এখানে বসিয়ে দিন। এবং তারপরে “বার্তা পাঠান” নামের অক্ষরের উপরে ক্লিক করুন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

তারপরে আপনার মোবাইল ফোন একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। সেই ভেরিফিকেশন কোড টি যথাযথভাবে বসিয়ে দেয়ার পরে নিম্নলিখিত স্ক্রীনশটএর মত একটি পেইজ দেখতে পারবেন।

এই পেজটিতে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করে নিতে হবে।

একটি ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট আপ করে নিন।এবং তারপরে বহাল নামের অপশন এর উপরে ক্লিক করুন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

যখনই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন, তখন আপনাকে নিম্নলিখিত স্ক্রিনশট এর মত একটি পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে।

এবার আপনি যেহেতু নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন, সেজন্য আপনাকে প্রথমত “প্রোফাইল” নামের জবসন রয়েছে সেই প্রোফাইল অপশনটির উপরে ক্লিক করে নিতে হবে।

প্রোফাইল নামের অপশনটির উপরে ক্লিক করুন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

প্রোফাইল নামে যে অপশন রয়েছে, সেই প্রোফাইল নামের অপশনটির উপরে ক্লিক করার পরে এখানে আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন।

এবার এখান থেকে “এডিট” নামক অপশনটির উপরে ক্লিক করুন।

এডিট নামের অপশনটির উপরে ক্লিক করার পরে এখানে যে ব্যক্তিগত ঠিকানা অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে ফিলাপ করে নিন।

এখানে আপনি যখনই এডিট নামক অপশনটির উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন সমস্ত রকমের ইনফরমেশন গুলো দেয়ার মতো ফিল্ড দেখতে পারবেন।

আপনার যে জন্ম নিবন্ধন কার্ড রয়েছে, সেই জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং আপনার পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের উপর ভিত্তি করে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো যথাযথভাবে দিয়ে দিন।

যখনই সমস্ত ইনফরমেশন গুলো যথাযথভাবে দিয়ে দিবেন, তারপরে পরবর্তী নামের যে বাটনটি পাবেন সেই বাটনের উপরে ক্লিক করুন।

যখনই আপনি পরবর্তী নামের বাটনটির উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনাকে আপনার ইনফরমেশন গুলো এখানে দিয়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যে প্রমাণাদি কিংবা তথ্য এখানে দিয়েছেন সেই সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক হয়েছে কিনা, সেগুলো প্রমাণ করার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন, সার্টিফিকেট দিতে হবে।

যখনই আপনি প্রমাণাদি গুলো আপলোড করে দিবেন, তারপরে পুনরায় “পরবর্তী” নামক বাটনটির উপরে ক্লিক করুন।

তবে কোনো কারণে যদি আপনাকে বলে যে কাগজপত্র দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই, তাহলে এটি স্কিপ করে পরবর্তী নামক বাটনের উপরে ক্লিক করে দিন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

যখনই আপনি পরবর্তী নামক বাটনটির উপরে ক্লিক করে দিবেন তখন একদম সর্বশেষ ধাপ হিসেবে আপনাকে আপনার ইনফরমেশন গুলো সাবমিট করে দিতে হবে।

সাবমিট করার পূর্বে প্রয়োজন মনে করলে, পেছনে নামের বাটনের উপরে ক্লিক করে পেছনে গিয়ে ইনফরমেশন গুলো আবার পুনরায় দেখে নিবেন।

কারণ, এখানে যদি ভুল ইনফরমেশন দিয়ে সাবমিট করে দেন, তাহলে আপনার এনআইডি কার্ডের ভুল ইনফরমেশন এর মাধ্যমে তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি করবে।

আপনি যে ইনফরমেশনগুলো দিয়েছেন সেই ইনফরমেশন গুলো সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত থেকে থাকেন, তাহলে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না করে “সাবমিট” নামের বাটনের উপরে ক্লিক করে দিন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করুন ঘরে বসে

যখনই আপনি সাবমিট নামক বাটনটির উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনার এপ্লিকেশনটি তাদের ডাটাবেজে চলে যাবে।

এবং আপনার আইডি কার্ডটি তৈরি হওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার আবেদন প্রণালী শেষ হয়ে যাবে।

এরপরে শুধু মাত্র দুইটি স্টেপ বাকি থাকবে। এই দুইটি স্টেপ যখনই পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, তখন আপনার এনআইডি কার্ড আপনি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এই দুইটি স্টেপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

স্টেপঃ ১.১ – ভেরিফিকেশন

আবেদন প্রণালী শেষ হওয়ার পরে আপনি যে উপজেলা বা জেলা নির্বাচন করেছিলেন, সেখানে ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

যদি কোন রকমের ফোন কল আসে তাহলে সেখানে চলে যান এবং ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিন।

স্টেপঃ১.২ – বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন

আবেদন প্রণালী শেষ হওয়ার পরে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে আপনার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার জন্য ডাকা হতে পারে।

এবং যখনই আপনি ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে দেবেন, তখন আপনার এনআইডি কার্ড সফলভাবে তৈরি হয়ে যাবে।

তারপরে আপনি এনআইডি কার্ডের ওয়েবসাইটেও ইনফর্মেশন গুলো দিয়ে লগইন করার মাধ্যমে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড

যদি আপনার এনআইডি কার্ড সফলভাবে তৈরি করা সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে আপনি চাইলে সহজেই আপনার এনআইডি কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

খুব সহজে এই আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নেয়ার জন্য আপনাকে প্রথমত নিম্নলিখিত লিংক ভিজিট করতে হবে এবং তারপরে আর্টিকেলটি দেখে নিলে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ  অনলাইন থেকে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটি দেখার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং এটি যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার তাহলে আইডি কার্ড নিয়ে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাক।

কত বছর হলে আইডি কার্ড তৈরি করতে পারব?

আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয়ে থাকে, তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ হলেই আপনি আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য উপযোগী।

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগবে?

আপনি যদি একজন নতুন ভোটার হতে চান, তাহলে বিভিন্ন রকমের কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।
আর সেগুলো হলোঃ আপনার জন্ম নিবন্ধন পেপার এবং আপনার সার্টিফিকেটের অনুলিপি।

এছাড়াও ইউটিলিটি বিল যদি থেকে থাকে এবং e-tin সার্টিফিকেট যদি থেকে থাকে, তাহলে সেগুলো দিতে করতে পারেন।

পিতা-মাতার সত্যতা যাচাই করার জন্য পিতা-মাতার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে।

তাহলে আর দেরি না করে এখনি উপরে উল্লেখিত নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম মান্য করে, নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top