আপনার যদি একটি জমি থেকে থাকে এবং কোন সময় যদি আপনার সেই জমির রেকর্ড যাচাই করতে হয়, জমির রেকর্ড যাচাই রিলেটেড কোন বিষয়ের মধ্যে পড়তে হয় তাহলে সেটি কীভাবে করবেন?
খুব সহজে ঘরে বসে আপনার নির্দিষ্ট জমির রেকর্ড যাচাই করে নেয়ার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি অনুসরন করতে পারবেন এবং যেভাবে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করবেন সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য এখানে আলোচনা করা হবে।
Contents
জমির রেকর্ড যাচাই ঘরে বসে করা কি সম্ভব?
আপনি যদি সঠিক পন্থা অবলম্বন করেন তাহলে ঘরে বসে খুব সহজেই কিছু ইনফরমেশন দেয়ার মাধ্যমে, আপনার জমির খতিয়ান কিংবা রেকর্ড যাচাই করে নিতে পারবেন।
অর্থাৎ দেখে নিতে পারবেন আপনি যে অবস্থানে রয়েছেন, সেই অবস্থান ঠিক রয়েছে কিনা কিংবা কেউ আপনাকে ঠকাচ্ছে কিনা।
পূর্বের সময়ে দেখা যেত আপনি যদি খতিয়ান যাচাই করতে চাইতেন, তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে চলে যেতে হতো। যা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বিভ্রান্তিকর ব্যাপার।
তবে এখন আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার জমির যেকোন রকমের ইনফর্মেশন যাচাই করে নিতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে, জমির রেকর্ড যাচাই করে নিতে পারবেন।
জমির রেকর্ড যাচাই করার নিয়ম
খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনে জমির রেকর্ড যাচাই করে নেওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
নিম্নের ওয়েবসাইট হলো বাংলাদেশের ভূমি রেজিস্ট্রি ওয়েবসাইট। যেখান থেকে আপনি ভূমি রিলেটেড যে সমস্ত ইনফরমেশন রয়েছে, সে সমস্ত যাবতীয় ইনফর্মেশন সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করার পরে নিম্নলিখিত স্ক্রীনশট এর মত একটি পেইজ আপনার সামনে ওপেন হবে। এবার আপনাকে নির্দিষ্ট ইনফরমেশন দেওয়ার মাধ্যমে পেজটি ফিলাপ করে নিতে হবে।
বিভাগঃ আপনার যে জমি রয়েছে সেই জমি কোন বিভাগের অধীনে রেজিস্টেশন করা হয়েছে, সেটি প্রথম বক্স থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে।
জেলাঃ আপনার নির্দিষ্ট জমি কোন জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটি এখানে থেকে নির্বাচন করে নিতে হবে।
খতিয়ান টাইপ নির্বাচনঃ আপনার যে জমি রয়েছে সেই জমির খতিয়ান টাইপ এখান থেকে নির্বাচন করে নিতে পারবেন।
এখানে অনেকগুলো টাইপ দেয়া হয়েছে এবং আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার যে জমির টাইপ রয়েছে সেই টাইপ সিলেক্ট করে নিতে হবে।
উপজেলাঃ এখান থেকে আপনার নির্দিষ্ট উপজেলা সিলেক্ট করে নিতে হবে।
মৌজাঃ আপনি যে মৌজা অবস্থান করছেন সেই মৌজা সিলেক্ট করে নিতে হবে।
খতিয়ান নাম্বারঃ আপনার জমির যে খতিয়ান নাম্বার রয়েছে, সে খতিয়ান নাম্বার সঠিকভাবে লিখে দিতে হবে। মনে রাখবেন, ভুল খতিয়ান নাম্বার দিলে আপনি নির্দিষ্ট ইনফরমেশন পাবেন না।
এবং তারপরে দাগ নাম্বার, মালিকানা নাম, পিতা বা স্বামীর নাম দিয়ে বক্স গুলো ভালোভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে।
যখনই আপনি সকল বক্স ভালোভাবে ফিলাপ করে নিবেন, তখন একদম সর্বশেষে, ক্যাপচা কোড ভালোভাবে লিখে দিতে হবে। অর্থাৎ বক্সের মধ্যে যে কোড দেয়া হবে সেটি পাশের বক্সে লিখে দিতে হবে।
সমস্ত ইনফরমেশন যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেয়ার পরে একদম সর্বশেষে, ” অনুসন্ধান করুন ” নামের যে বাটন দেখতে পারবেন, সে বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিবেন।
তাহলে আপনার ইনফরমেশন, যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী বক্সে জমির রেকর্ড যাচাই করে নিতে পারবেন এবং জমির যে ইনফর্মেশন রয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারবেন।
জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা নিয়ে আরো কিছু তথ্য
আপনি যদি জমির রেকর্ড যাচাই করে নিতে চান, তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল নির্দিষ্ট ইনফর্মেশন সংগ্রহ করে নেয়া।
উপরে যে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করে নেয়া। কারণ আপনি যদি ভুল ইনফরমেশন দেন, তাহলে কখনই জমির খতিয়ান যাচাই করে নিতে পারবেন না।
সেজন্য সর্বপ্রথম, আপনার ভূমি রিলেটেড যে সমস্ত ইনফরমেশন রয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে নিন। এবং তারপরে উপরে উল্লেখিত উপায়ে খুব সহজেই আপনার জমির খতিয়ান যাচাই করে নিন।
কিভাবে খুব সহজে জমির খতিয়ান যাচাই করবেন কিংবা ভূমি খতিয়ান যাচাই করবেন? সেই রিলেটেড যাবতীয় তথ্য উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও আপনার যদি এই রিলেটেড কোন রকম সমস্যা মতামত অভিযোগ কিংবা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে সেটি আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যা নিয়ে অচিরেই হাজির হব।
